সিসি ক্যামেরায় চুরি হওয়া রেকর্ড মুছবো কিভাবে
সিসি ক্যামেরায় চুরি হওয়া রেকর্ড মুছবো কিভাবে? মি, রায়হান সাহেবের বিশাল ফাক্টরি। একি রুমের ভিতর বিশাল টয়লেট। সকাল সকাল কাজে আসছি। টয়লেট ব্যবহার করার জন্য ভিতরের ঢুকতেই দেখি মিস সাবিহা কি যেন করছিল।
উনাকে আগে থেকে চিনি। উনিও আমাকে বেশ জানেন। ভিতরে ডুকেই আগের কথা মনে পড়ে গেল। কেউ নেই দেখে আমরা দু চারটি কথা বললাম। সাবিহা আমাকে ইশারা করলেন রুমের মেন দরজাটা বন্ধ করতে। আমিও সুযোগ টা কাজে লাগানোর জন্য দরজা বন্ধ করতে উদ্যত হয়।
মুলত দরজা লাগানো ছিল। আমি ছিটকি লাগানোর জন্য যেই এগিয়ে যায় সেই সময় দেখি আমার এক সহকর্মী (জামাল) দরজায় ঢুকতে উদ্যত। আমি বুঝিনি সে ওত পেতে আছে। আমাদের অথ্যাৎ সাবিহা ও আমার কথাগুলো সে সব শুনছে। যদিও সরাসরি খারাপ কথা উচ্চারিত হয়নি। কিন্তু মনের মধ্য আমাদের খারাপ ধারনাটাই উকি মারছিল। তাই একটু একটু ভয় করছিল।
কি যেন কি হয়। এক কান দু কান করতে করতে বিষয়টি ম্যানেজার পর্যন্ত গড়িয়ে গেলো। ম্যানেজার এবং জামাল সাহেবের সংগে সর্ম্পক টা আমার ভাল চলছিল না। তারা আমাদের পাকড়াও করার জন্য সেই রুমে সিসি ক্যামেরা আগে থেকে ফিট করে রেখেছিল। সে যাই ই থাক আমাদের মনে খারাপ ধারণা ছিল ঠিকি কিন্তু খারাপ কিছু তো করিনি। সেজন্য আমার মনে সাহস ছিল। আবার ভয় হয় আমি তো এর আগে বহুত খারাপ কাজ করছি সেগুলো যদি জানতে পারে!
ম্যানেজার আমাকে এক দিন পর তার অফিসে ডাকলো, সে আমাকে বলেই ফেলল জামাল যা দেখেছে তা কি সত্যি? আমি বললাম কি দেখেছে? ম্যানেজার তো আগে থেকেই খাপ্যা হয়ে আছে আমার প্রতি। কারণ ম্যানেজার সাহেব আমার চাইতে অনেক আগে থেকেই চাকরি করলেও আমি চাকরি নেওয়ার পর তার অনেক ভুল ধরি। সে জানে আমি তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দি । ম্যানেজার সাহেব অনেক ভয়-ভীতি হুমকি ধামকি দেখালো। আমার থেকে তারা কিছুই বের করতে পারলো না।
অবশেষে তারা আমাকে জোড় করে বেধে দুজন মাস্তান দিয়ে এক নিরালা কক্ষে নিয়ে আঘাত করতে শুরু করলো। তারা দেখছে সিসি ক্যামেরায় ফুটেছে প্রকাশে খারাপ কিছু নাই। তাই আমাকে আঘাত করে মুখ দিয়ে স্বীকার করার জন্য অপকৌশল করছে। এরকম অবস্থায় আমি নিরুপায় হয়ে কান্নাকাটি করছি আর আল্লাহর কাছে অনুই বিনয় করছি। আর মনে মনে বলছি আল্লাহ আমি গুনাহগার তো বটে কিন্তু আমার কিছু ভাল কাজ ও তো আছে। এরা তো আমাকে অন্যায় করে মারছে। এই বলেই লা ইলাহা ইললাল্লাহ মহাম্মদুর রাসুল্লাহ – হাক মেরে দুজনকে দুদিক দিলাম ধাক্কা। দেখি দুজনে পড়ে গেল, অন্যগুলো সরে গেল।
ইতি মধ্য আমার ঘুম ভেংগে গেছে। ঘুম থেকে জেগে ভাবছি আমি কি স্বপ্ন দেখছি?
সেদিনের সিসি ক্যামেরায় প্রকাশে খারাপ কিছু ছিল না বটে কিন্তু আগের দিনের সিসি ফুটেজ যদি বের হয় কোনভাবে? তাহলে সেদিনের সিসি ক্যামেরায় চুরি হওয়া রেকর্ড মুছবো কিভাবে?
সে যাই ই হোক সেদিনের মানুষ্য ক্যামেরা থেকে যেভাবেই হোক মুক্তি পেলাম ধরে লান। মানুষের ক্যামেরা তো আবিষ্কার হলো সবে মাত্র। কিন্তু আল্লাহর ক্যামেরা সৃষ্টি হয়েছে মানুষ সৃষ্টির আগে। আল্লাহর ক্যামেরা মানুষের ক্যামেরার চাইতে তুলনাহীন ভাল বা উন্নত। মানুষের ক্যামেরা মানুষ চালায় যেকোন সময় নষ্ট হতে পারে। চুরি হতে পারে। টাকা দিয়ে বা হ্যাক করে তথ্য লুট করতে পারে। কিন্তু আল্লাহ ক্যামেরা তো মানুষের ধরাছোয়ার বাহিরে।।
আল্লাহর ক্যামেরায় রেকর্ড হওয়া আমার যাবতীয় খারাপ খারাপ তার চাইতে খারাপ ছোট বড় চুরি হওয়া রেকর্ড মুছবো কিভাবে?
প্রিয় পাঠক এই রকম সমস্যা থেকে পরিত্রাণের উপায় গুলো দয়া করে জানাবেন দয়া করে।
আরো পোষ্ট দেখতে নিচের লিংকে যান
মহানবী (সা.) যেভাবে দোয়া করতেন
Go ahohed